দৈনন্দিন জিবনে আমরা প্রায় সকলেই “নেটওয়ার্ক” কথাটি শুনে থাকি। নেটওয়ার্ক হল এমন একটি সিস্টেম, যেখানে সবাই মিলে তথ্য বা রিসোর্স শেয়ার করা যায় বা একসাথে কাজ করা যায়। দুটি কম্পিউটারকে যখন নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা হয় তখন আমরা প্রধান যে সুবিধা পাই তা হল দুটি কম্পিউটার পরস্পর পরস্পরের মধ্যে ডাটা বা রিসোর্স শেয়ার করতে পারে। এখানে রিসোর্স বলতে তথ্য এবং হার্ডওয়্যার ডিভাইস উভয়কেই বোঝানো হয়।
একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সমূহকে অন্য এক বা একাধিক কম্পিউটার শেয়ার করে ব্যবহার করার জন্য পরষ্পর সংযুক্ত হয়ে থাকে। এই সংযুক্ত হওয়ার সিস্টেমকেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে। সুতরাং নেটওয়ার্ক বলতে যা বোঝায়, যখন কোন কম্পিউটার এক বা একাধিক কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয় এবং তথ্য আদানপ্রদান করে থাকে তখন তাকে নেটওর্য়াক বলে।
নেটওয়ার্কিং এর সাহায্যে খুব সহজেই আমরা আমাদের কম্পিউটারের ডাটা, অ্যপ্লিকেশন এবং হার্ডওয়্যার রিসোর্স একে অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারি । একদম সহজ ভাষায় বলতে, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা নেটওয়ার্কিং এর অস্তিত্ব সেখানেই রয়েছে, যেখানে একাধিক কম্পিউটার একে অপরের সাথে কানেক্টেড হয়ে ডাটা এবং হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করে
একটি নেটওয়ার্কে অবশ্যই দুটি পক্ষ থাকে যার একটিকে বলা হয় প্ররক (Source) এবং অন্যটি হল গ্রাহক (Destination) । এখানে সোর্স হল সেই কম্পিউটার যে অন্য কোন কম্পিউটার এর নিকট তথ্য পাঠাতে চায়। আর যেই কম্পিউটার এর নিকট তথ্য পাঠানো হবে সেই হবে গ্রাহক (Destination) । নেটওযার্কের এর মাঝে কোনো কম্পিউটার, প্রিন্টার কিংবা অন্য যে কোন ডিভাইস যা তথ্য আদান প্রদান করতে পারে তাকে বলা হয় নোড/হোস্ট বা ডিভাইস।
নেটওয়ার্কিং এর উদ্দেশ্য
এখন প্রশ্ন হতে পারে! আমরা নেটওয়ার্কিং কি জন্য করব? ধরুন আপনার অফিসে 10 টি কম্পিউটার আছে। এই 10টি কম্পিউটার এর জন্য প্রিন্টার রয়েছে 1টি। এই প্রিন্টারটি একটি কম্পিউটারে ইন্সটল করা রয়েছে। অন্য যে 9টি কম্পিউটার রয়েছে তাদের যখন কোন ডকুমেন্ট প্রিন্টআউট করার প্রয়োজন পরে, তখন তারা ঐ কম্পিউটারে গিয়ে তাদের ডকুমেন্টগুলি প্রিন্টআউট করে যে কম্পিউটারে প্রিন্টারটি ইন্সটল করা রয়েছে। যেটা খুবই ঝামেলাপূর্ণ একটি কাজ এবং সেই সাথে সময়সাপেক্ষও বটে।
কিন্ত আমরা যদি এই ১০ টি কম্পিউটারকে নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠন করি। এবং ঐ প্রিন্টারটি যদি নেটওয়ার্ককে শেয়ার করি তাহলে সবাই তাদের নিজ নিজ কম্পিউটার থেকে তাদের প্রয়োজনিয় ফাইল, ডকুমেন্টগুলি খুব সহজেই প্রিন্টআউট করতে পারবে। সেজন্য তাদেরকে আর ঐ কম্পিউটারে যেতে হবে না, যেই কম্পিউটারে প্রিন্টারটি ইন্সটল করা রয়েছে। এভাবে আমরা নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে যে কোন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারকে নেটওয়ার্কে যুক্ত অন্য সকলের কাছে শেয়ার করতে পারি।
No comments:
Post a Comment